আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে পার্থক্য

Isolation এবং Quarantine হ’ল জনসাধারণের সুরক্ষার জন্য যে জনসাধারণের স্বাস্থ্যের সংক্রামক ব্যাধি আছে বা থাকতে পারে তাদের সংস্পর্শে রোধে  protect মাত্র।‘‘আইসোলেশন, হোম কোয়ারেন্টাইন ও কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে বেশ কিছু ফারাক রয়েছে।আবার কিছু পার্থক্যও আছে নিয়ম মানার ক্ষেত্রেও।

আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে পার্থক্যঃ

Isolation

সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছেদকে আইসোলেশন বা বিচ্ছিন্নতা বলা হয়। সোশাল আইসোলেশন মানে, এমন সমস্ত পরিস্থিতি থেকে দূরে থাকা বুঝায় যাতে আপনার অন্য কোনও মানুষের সঙ্গে দেখা না হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ, অফিস, স্কুল-কলেজ, পাড়ার পার্ক, জিম, বাজার, সিনেমাহল, শপিং মল, রেস্তোরাঁ, এরোপ্লেন, ট্রেন, ট্যাক্সি সব কিছু থেকে দূরে থাকা।কোন ব্যক্তির শরীরে করোনার লক্ষণ প্রকাশ পেলে, সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ হলে, মোট কথা করোনা হয়ছে তা ধরা পড়লে তাকে

আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। আইসোলেশনের সময় চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে থাকতে হবে রোগীকে। অন্য রোগীদের কথা ভেবে হাসপাতালে আলাদা জায়গা তৈরি করা হয় এঁদের জন্য। অন্তত ১৪ দিনের মেয়াদে আইসোলেশন চলে। অসুখের গতিপ্রকৃতি দেখে তা বাড়ানোও হয়। আইসোলেশনে থাকা রোগীর সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগ করতে দেওয়া হয় না। তাঁদের পরিজনের সঙ্গেও এই সময় দেখা করতে দেওয়া হয় না। একান্ত তা করতে দেওয়া হলেও অনেক বিধিনিষেধ মেনে।

Quarantine

এমন একটি সময়কাল যার মধ্যে কোনও প্রাণী বা ব্যক্তি যার একটি রোগ থাকতে পারে তাকে অন্য ব্যক্তি বা প্রাণী থেকে দূরে রাখা হয় যাতে রোগটি ছড়াতে না পারে।করোনার জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার পরেই তার উপসর্গ দেখা দেয় না। অন্তত সপ্তাহখানেক সে ঘাপটি মেরে বসে থাকতে জানে। তাই কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ঘুরে এলে বা রোগীর সংস্পর্শে এলে তার শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে কোভিড-১৯। বাসা আদৌ বেঁধেছে কি না বা সে আক্রান্ত কি না এটা বুঝে নিতেই কোয়রান্টাইনে পাঠানো হয় রোগীকে। অন্য রোগীদের কথা ভেবেই কোয়রান্টিন কখনও হাসপাতালে আয়োজন করা হয় না। করোনা হতে পারে এমন ব্যক্তিকে সরকারি কোয়রান্টিন পয়েন্টে রাখা হয়।

কমপক্ষে ১৪ দিনের সময়সীমা এখানেও। এই সময় রোগের আশঙ্কা থাকে শুধু, তাই কোনও রকম ওষুধপত্র দেওয়া হয় না। শুধু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়। বাইরে ঘোরা  বন্ধ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। যেহেতু রোগের জীবাণু ভিতরে থাকতেও পারে, তাই মাস্ক ব্যবহার করতেও বলা হয়। বাড়ির লোকেদেরও এই সময় রোগীর সঙ্গে কম যোগাযোগ রাখতে বলা হয়।

কোয়ারেন্টাইন একটি সময়কাল যার মধ্যে একটি জাহাজ বন্দরে পৌঁছে এবং সংক্রামক রোগ বহনের সন্দেহে তীর থেকে তাকে বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *